বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ অমিদ হাসান

চুয়াডাঙ্গা সদরের গাড়াবাড়ীয়া গ্রামে নবম শ্রেণির ছাত্রী মেঘার আত্মহত্যা, শ্বাসকষ্ট না অভিমান—প্রশ্ন ঘুরছে চারপাশে

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়ীয়া গ্রামে মেঘা (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৩ মে) বিকেল ৪টার দিকে নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করে।

নিহত মেঘা ওই গ্রামের মাঠপাড়ার আনিসুর রহমান রতনের মেয়ে এবং চুয়াডাঙ্গা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার কারণে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল মেঘা। তবে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, টিকটক ভিডিও বানানো নিয়ে বাবা-মায়ের শাসনের কারণে সে অভিমান করে এই পথ বেছে নেয়।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি মেঘার টিকটক ভিডিও বানানো বাবা আনিসুর রহমানের নজরে আসে। এরপর তিনি মেয়েকে শাসন করেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই ঘটনার পর অভিমানবশত সে আত্মহত্যা করে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তারেক জুনায়েদ জানান, মেয়েটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং বিষয়টি থানায় অবহিত করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, ‘বাবা-মায়ের বকাবকির কারণে মেয়ে অভিমানে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিবার বিষয়টিকে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে উল্লেখ করলেও প্রাথমিক তদন্তে অভিমানজনিত কারণই সামনে এসেছে।’