চট্টগ্রামে বেপরোয়া হয়ে উঠছে কিশোর গ্যাং আজমির বাহিনী
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার অন্যতম শীর্ষ চাঁদাবাজ ও বিবাহিত ছাত্রলীগ নেতা আজমির বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দিন দিন মাত্রা ছড়াচ্ছে ৷ বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানা এলাকায় ভূয়া ছাত্রলীগের এম এম এন কলেজের কথিত ছাত্রলীগ নেতা আজমীরের নামে অত্র এলাকাবাসীর শত শত অভিযোগ।
আজমীর হোসেনে গ্রামের বাড়ী নোয়াখালী হাতিয়া বলে জানা যায়। তার অস্থায়ী ঠিকানা বাকলিয়া ষ্টেডিয়াম মাঠের সামনে মনজু কলোনীতে বউ বাচ্চা নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে থাকেন।
তার রয়েছে একাধিক কিশোর গ্যাং সদস্য এমনটাই বলছেন এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় জনসাধারণ এখানেই শেষ নয়, আজমিরের বেশ কিছু কিশোর গ্যাং গ্রুপ ছাড়াও প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজির হাট খুলে বসে আছেন নতুন ব্রিজ মোড়ে, কেউই মুখ খুললেই তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তার লালিত পালিত কিশোর গ্যাং সদস্যরা।
বাকলিয়া শহীদ এন এম এম জে ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, আজমীর শাহ বর্তমানে ওই কলেজে অধ্যয়নরত কোনো শিক্ষার্থী নয়।
কথিত এই ভূয়া ছাত্রলীগ নেতা নিজেকে শহীদ জে এম এম এন কলেজের আহ্বায়ক দাবী করলে সেটা চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের নজরে আসে ০৫/১০/২০২১ ইংরেজীতে। এতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ দ্রুত নিজস্ব প্যাডে লিখিত দেন ০৬/১০/২০২১ ইং শহীদ এন এম এম জে কলেজে তাদের কোন কমিটি নেই। যদি কোন ব্যাক্তি অত্র কলেজে ছাত্রলীগ আহ্বায়ক দাবী করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
চাঁদা নেওয়াকে কেন্দ্র করে বহুবার টেম্পু শ্রমিক সভাপতি,সাধারন সম্পাদক সাথে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে আজমীর হোসেন হাতে দেশীয় ধারালো ছুড়ি হাতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এই বিষয়ে চট্টগ্রাম অটো টেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি,সাধারন সম্পাদক ভূয়া ছাত্রলীগ আজমীরের নামে বাকলিয়া থানায় একটা মামলা দায়ের করেন। মামলা করার পর আরো বেপোরোয়া হয়ে উঠে তার কিশোর গ্যাং বাহীনির সদস্যদের দিয়ে মারধর করান টেম্পু চালক শ্রমিকদের।
এই বিষয়ে স্থানীয় কর্ণফুলী সেতু এলাকার দায়িত্বে থাকা পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত প্রশাসনের কর্মকর্তারা অনেক সময় এই সব বিষয়ে জেনে ও ব্যবস্থা নেয়না বলে জানান স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
বাকলিয়া থানার ওসি আফতাব বলেন যথাযথ অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।