তপন দাস, নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীতে আরো ২ টি উপজেলাকে গৃহ ও ভূমি হীন মুক্ত ঘোষণা করলো মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার সকাল ১০ টায় ভার্চুয়ালী দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার ন্যায় নীলফামারীর ২ উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমি হীন মুক্ত ঘোষণা দেন প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধান মন্ত্রীর ঘোষণার পর নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা পরিষদের হলরুমে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওয়াতায় চতুর্থ পর্যায় দ্বিতীয় ধাপে ২৫ টি একক ঘরের চাবি ও জমির কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়।
এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ময়নুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, এসময় উপস্থিত ছিলেন জলঢাকা উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জলঢাকা উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক সাংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, এবং জলঢাকা পৌরসভার মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু।
ঘরের চাবি ও জমির কাগজপত্র হস্তান্তর শেষে তাদের মাঝে সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়।
এসময় জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন দেশকে ভুমিহীন ও গৃহ হীন মুক্ত করার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে অঙ্গীকার তা বাস্তবায়িত হলো এই জলঢাকা ও ডোমার উপজেলায় । অর্থাৎ এই ২ উপজেলায় আর কেউ গৃহ হীন ও ভুমিহীন নেই।
প্রধান মন্ত্রীর উপহার হিসেবে ২ শতক জমির মালিকানার সাথে রয়েছে ২ টি করে শোয়ার ঘর।
একটি রান্না ঘর, একটি শৌচাগার, বারান্দা, বিদ্যুৎ এবং সুপেয় পানির জন্য গভীর নলকূপ । এছাড়া ও রয়েছে কর্মসংস্হান এর জন্য নানা মুখী পদক্ষেপ ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জলঢাকা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ময়নুল হক, উপজেলা প্রকৌশলী শিশির চন্দ্র দাস , উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মোহাম্মদ মোখছেদুল হক, সহ আরো অনেকে।
এছাড়াও ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে জেলার ডোমার উপজেলা এবং সৈয়দপুর উপজেলাতে ও অনুষ্ঠিত হয় ।
ডোমার উপজেলায় ৪২ ট ও সৈয়দপুর উপজেলায় ১৩১ টি পাকা ঘর উপকারভোগীদের কে দেয়া হয় এবং তিন উপজেলায় মোট ১৯৮ টি ঘর হস্তান্তর করা হয়।