
আহসান হাবীব দুলাল, ফুলবাড়ি (কুড়িগ্রাম)সংবাদদাতা
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় ফাতেমা আক্তার (১১) নামের এক পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালাতাড়ী গ্রামে ঘটে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা। ফাতেমা বালারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহত ফাতেমা ওই গ্রামের নুর হোসেন ও তুলি বেগম দম্পতির একমাত্র কন্যা।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন ফাতেমার মা তুলি বেগম ছাগলের জন্য পাতা আনতে বাইরে যান। কিছুক্ষণ পর ঘরে ফিরে মেয়েকে ডাকলেও কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরে ঢুকে দেখেন, আঁড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মেয়ের নিথর দেহ ঝুলছে। পরে তার চিৎকারে ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন এবং মরদেহটি নিচে নামানো হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কুড়িগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (নাগেশ্বরী সার্কেল) মোজাম্মেল হক ও ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। সন্ধ্যা সাতটার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
ফাতেমার মা তুলি বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “ছাগলের জন্য পাতা আনতে বাইরে যাওয়ার সময়ও ফাতেমা ঘরেই ছিল। তাকে রেখে আমি ছাগলের খাবার আনতে যাই। ফিরে এসে দেখি মেয়েটা আঁড়ার সঙ্গে ঝুলছে। আমি তখনই চিৎকার করি, প্রতিবেশীরা এসে মরদেহ নামায়।”
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক বলেন, “এটি আত্মহত্যা, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ধারণে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।”
ঘটনার পর পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকার মানুষ শোকাহত ও বিস্মিত এই মর্মান্তিক ঘটনার পর।