কুড়িগ্রামে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা নেমেছে ৭ ডিগ্রির ঘরে

বিপুল রায়- কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

মাঘের শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রাম। তাপমাত্রা কমে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশা ও শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সোমবার (২২ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে জীবন-জীবিকার তাগিদে কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষজন। তাপমাত্রা কমতে থাকায় বিপাকে পড়েছেন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চলের মানুষজন।

অন্যদিকে ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দিকাশিসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১২টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন প্রায় ৬০ জন রোগী। শিশু ওয়ার্ডে ৪৪টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় ৯০ জন রোগী। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকায় গত বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ রয়েছে জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের ২ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের রিকশা চালক সুজন বলেন, কিছুদিন থাকি ঠান্ডা খুব পড়ছে। আজও খুব ঠান্ডা, রাস্তায় লোকজনও কম। আগের মতো আর যাত্রী হচ্ছে না। ঠান্ডার কারণে আয় অনেক কমে গেছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি মাসজুড়েই জেলায় তাপমাত্রা এরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ২৫ তারিখের পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।

কোনো অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলে সেটিকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *