বিপুল রায়- কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে নারী ও নির্যাতন মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক এস.এম. নূরুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর আলম যশোর জেলার মনিরামপুর থানার ভরতপুর গ্রামের আব্দুল গণি সর্দারের পুত্র। আসামি পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করা হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোটে আব্দুর রাজ্জাক জানান, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার উত্তর তিলাই গ্রামে লজিং মাস্টার হিসেবে কুরআন শরীফ শিক্ষা দিয়ে আসছিল জাহাঙ্গীর আলম। এসময় সেখানকার এক কিশোরীকে বিভিন্নভাবে প্রেমের প্রস্তাব দেয় আসামি। কিন্তু তার প্রেমের প্রস্তাবে মেয়েটি রাজি না হওয়ায় ২০১৫সালের ০২এপ্রিল জোর পূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায় ও ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে কিশোরীর মা বাদী হয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় ৫ এপ্রিল একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৪। পরবর্তীতে মামলাটি নারী ও শিশু আদালতের অন্তর্ভূক্ত হয় যা নারী ও শিশু মামলা নং ১৬০/২০১৫। পরবর্তীতে কিশোরী উদ্ধার হয়ে আদালতে তাকে অপহরণ ও ধর্ষণ করার সাক্ষ্য দেয়। ঘটনার দিন থেকে আসামী পলাতক থাকায় চলতি বছরের ২৯জানুয়ারি এই মামলার শুনানি শেষ হয়। পরে আদালত আসামীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগসমূহ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী-২০২৩) এর ৭ ধারায় ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ০৩ (তিন) মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং একই আইনের ৯ (১) ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ০৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করে রায় প্রদান করেন।
আসামী পলাতক থাকায় তারপক্ষে রাষ্ট্রপক্ষ নিযুক্ত অ্যাডভোকেট সরদার মো: তাজুল ইসলাম ও রাষ্ট্র পক্ষে পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক মামলাটি পরিচালনা করেন।