কিশোরীকে চেয়ারে বেধে বাবা,সৎ মা ও ভাই মিলে নির্যাতনের অভিযোগ

ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বাবা, সৎ মা ও ভাই দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে ফাতেমাতুজ জোহরা নামে এক কিশোরী। নির্যাতিত কিশোরীর নানা আমজাদ হোসেন রোববার ধনবাড়ী থানায় লি‌খিত অভিযোগ দিয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ধনবাড়ীর কয়াপাড়া গ্রামের মৃত সেকান্দর আলীর ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলামের সাথে তার মেয়ে সাথী আক্তারের বিয়ে হয় প্রায় ১৫ বছর আগে। শফিকুল ও তার ১ম স্ত্রী কোহিনুর বেগম এর কবির হোসেন না‌মে সন্তান ছিল। দ্বিতীয় বিয়ের পর স্বল্প দিনের সংসার জীবনে শফিকুল ও তার ২য় স্ত্রী সাথী আক্তারের একটা মেয়ে সন্তান হয়। সন্তান হওয়ার পরই তাদের সংসারে ঝামেলার কারণে বিয়েটি টিকেনি। প্রায় ১৪ বছর আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তখন থেকেই ফাতেমাতুজ জোহরা (১৪) নামের মেয়েটি বিলাসপুর গ্রামের নানা আমজাদের পরিবারে লালিত পালিত হয়। এদিকে ভরন-পোষণ না দেওয়ায় মেয়ে ফাতেমাতুজ জোহরা নানা বাড়িতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রায় ০৪ মাস পূর্বে তাকে লালন-পালন করবেন মর্মে কথা দিয়ে বাড়িতে নিয়া যায় বাবা শফিকুল।

আমজাদ জানান, তার নাতনী সৎ সন্তান হওয়ায় তার সৎ মা ও সৎ ভাই নাতনীর না‌মে নানা মিথ‌্যা অপবাদ অ‌ভি‌যোগ দেওয়ার চেষ্টা ক‌রে আস‌ছে যা‌তে আমার নাতনী ওই বাড়ী থে‌কে চ‌লে যায়। কিন্তু তা‌তেও কাজ না হওয়া‌ এভা‌বে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা শুরু করে।

গত ৩০ এপ্রিল বিকাল অনুমান ৫ টার দিকে ফাতেমাতুজ জোহরাকে কাঠের চেয়ারের সহিত বেঁধে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত ও নিলাফুলা জখম করা, প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি দেখায়, চিৎকার- চেচামেচি শুনিয়া আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তসহ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবা‌সী।

ধনবাড়ী থানার ওসি এস.এম শহীদুল্লাহ অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, নির্যাতিত কিশোরীর নানা আমজাদ হোসেন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদি‌কে অ‌ভিযুক্ত শফিকুল ইসলামের সাথে অ‌ভি‌যো‌গের বিষ‌য়ে মোবাইলে যোগা‌যো‌গের চেষ্টা কর‌লে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায় ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *