এম ফয়সাল মাহমুদ (অনিক) : কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি।
কলাপাড়া ভাইরাস জনিত রোগ পিপিআর এ আক্রান্ত হয়ে দুই শতাধিক ছাগলের মৃত্যু। বিজ্ঞানীদের মতে এটি একটি মরবিলি ভাইরাস। রোগটি ১৯৪৩ সালে দেখা যায় আইভরিকোস্টে। এই দেশে কাটা নামে পরিচিত ছিল ভাইরাসটি। চিনে ২০০৭ ও মরোক্কোতে ২০০৮ এবং বাংলাদেশে ১৯৯৩ সালে মেহেরপুর – কুষ্টিয়া জেলায় মহামারী আকারে প্রকাশ পায়।
এর পর বাংলাদেশে প্রতি বছর এ রোগে অনেক ছাগল মারা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে খামারের মালিকদের অবলার কারণে এ রোগটি হয়।
চিকিৎসকদের মতে বর্ষায় এ রোগটি ব্যাপক হারে হ্রাস পায়। গত দুই সপ্তাহে কলাপাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে অনেক ছাগল মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। এ রোগের প্রধান কারণ মুখ থেকে লালা যারা ও পাতলা পায়খানা হওয়া।
এ ব্যাপারে উপজেলা নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের খামারী মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, তার নিজের খামারে এ পর্যন্ত তিনটা ছাগল মারা গেছে প্রত্যেকটা ছাগল মুখ থেকে লালা ঝরে ও পাতলা পায়খানা হয়।
ওই একই গ্রামে সোনাতলায় আব্দুল জলিল নামে এক লোক বলেন, আমার আটটি ছাগল মারা যাওয়ার পর আমি বাকি ছাগল গুলো বিক্রি করে দিছি আসলে তিনি এটা কিসের কারণে হয়েছে তা জানা ছিলো না।
আরো এক খামারির পিপিয়ার ভাইরাসে পাঁচটি ছাগল মারা যায়।
উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ড. শাহআলম জানান, পিপিয়ার ভাইরাস দমনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এটি বাতাসে ছড়ায় তাই বছরে দুবার প্রতিষেধক টিকা দিলে ৯০% সুরক্ষিত থাকবে।