কনক‌নে শীতে পুরাতন কাপড়ের দোকা‌নে উপ‌চেপড়া ভিড়

আহসান হাবিব : ফুলবাড়ি,কুড়িগ্রাম প্রতি‌নি‌ধি।

দেশের উত্তরের সীমান্ত ঘেষা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপ‌জেলায় গত কয়েক দিন ধরে তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ গু‌লো পড়েছে বিপাকে। ফলে উ‌পজেলার হাট বাজা‌রের ফুটপা‌তের দোকান গু‌লোতে পুরাতন গরম কাপড়ের কদর বেড়েছে । শীত থেকে রক্ষা পেতে পরিবারের সদস্যদের জন্য কাপড় কিনতে উপ‌চে পড়া ভিড় ছিল চোখে‌ পড়ার মত।‌বিশেষ ক‌রে পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে চরাঞ্চা‌লের নিম্ন আয়ের মানুষের ভির ছিল সবচেয়ে বেশী।তবে ‌কিছুটা দাম বেশী হওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (১০ই ডিসেম্বর)সরেজমিনে উপ‌জেলার অস্থায়ী পুরাতন কাপড়ের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, বয়স্কদের জন‌্য সোয়েটার, কোট, ব্লেজার, মাফলার এবং ছোটদের বিভিন্ন সাইজের শীতের পোশাকের আধিক্য বেশী।উপ‌জেলার ফুটপাতের দোকান গু‌লোতে মেয়েদের সোয়েটার ১৫০- ৫০০ টাকা, ছেলেদের জ্যাকেট ৩৫০-৮০০ টাকা, ছোটদের বিভিন্ন পোশাক ১০০- ৫০০ টাকা, মাফলার ১০০- ১৫০ টাকা এবং গরম টুপি ১০০-২০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সাইজের কম্বল ২০০-৮০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

খ‌ড়িবাড়ী বাজা‌রের কাপড় ব‌্যবসায়ী নুর‌হোসেন জানান, গত কয়েকদিন ধরে শীতের কাঁপানো ঠান্ডা জনজীবনকে প্রভাবিত করেছে, যার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্রের চাহিদা বেড়ে গেছে। তবে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় ক্রেতাদের ভির বাড়‌লেও কাপড় বিক্রি তেমন হচ্ছে না। ত‌বে আশা ক‌রি দুই- এক দিনের ম‌ধ্যে বিক্রি বাড়বে। শিশুদের শীতের পোশাক বিক্রি হচ্ছে বেশী।

ফুলবাড়ী উপ‌জেলার ফুটপা‌তের‌ দোকা‌নের শীতের পোশাক কিনতে আসা তাহ‌মিনা বলনে,ছোট-বড় সব বয়সের মানুষই দোকানগুলোতে এসে শীতের কাপড় কেনার জন্য ভির করছেন। পুরাতন শীতের জামাকাপড়ের দাম তুলনামূলক ভাবে কম হওয়ায় অনেকেই এখানে কেনাকাটা করছেন। বাচ্চাদের জন্য শীতের পোশাক কিনতে এ‌সেছি,কাপ‌ড়ের মান অনুযায়ী দাম অ‌নকে বেশী।

ফুলবাড়ী উপ‌জেলার ফুটপা‌তের‌ দোকা‌নের শীতের পোশাক কিনতে আসা অ‌নিল চন্দ্র বলেন,সাধ আর সাধ্যের সমন্বয় করতে বেশীর ভাগ ক্রেতাই পুরাতন কাপড়ের দোকানেই বেশী ঝুঁকছেন। কিনছেন পছন্দের শীতবস্ত্র।ফুটপাতের সব দোকা‌নেই ক্রেতার ভির বেশী এবং বিক্রিও হচ্ছে হরদম।তবে চাহদিা থাকায় শীতের পোশাকের দাম এবার বাড়তি।

কু‌ড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, উত্তরের হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় শীত বেশী অনুভূত হচ্ছে। কুড়িগ্রামে মঙ্গলবার সকালে তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।ডিসেম্বর মাসে জেলা জুড়ে শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

এ বিষ‌য়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম বলেন,আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। সরকারি ভাবে এখনো শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়নি। এছাড়া সমাজের বিত্তবানদের আহ্বান জানাই, তারা যেন শীতার্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *