রাফি চৌধুরী, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ
বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশের সাবেক আই জি পি মোঃ নুরুল আনোয়ার গলব্লাডার ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে গ্রীনরোডস্হ ল্যাবএইড ক্যান্সার হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ভোর সাড়ে চারটায় ইন্তকাল করেন।
তার মৃত্যুতে সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন, সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাব সহ বিভিন্ন মহল গভীর শোক প্রকাশ করছে।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃতিনি
১৯৫০ সালের ৩১ ডিসেম্বর – চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড মান্দারীটোলা সম্ভ্রান্ত পরিবার আব্দুর রহমান হাজী বাড়ীর মৃত সিরাজুল মোস্তফার জেষ্ঠ সন্তান। তাঁর বাবা বাংলাদেশ রেলওয়ের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পুলিশ) ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।
চাকুরী জীবনে তিনি তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার সর্বশেষ মহকুমা পুলিশ প্রশাসক ছিলেন।
তাছাড়া,তিনি চুয়াডাঙ্গা,কিশোরগঞ্জ, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, রাঙামাটি সহ ৫ টি জেলায় পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তর বিভাগের প্রথম উপকমিশনার ছিলেন।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার হিসেবে ১৯৯০ সালে পাকুন্দিয়াতে কথিত পীর মতিউরের সন্ত্রাসী আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম সন্ত্রাসী জঙ্গী দমনের নেতৃত্ব দেন।
২০০৯ সালে সরকার পিআরএল থাকা অবস্থায় নুরুল আনোয়ারকে পরবর্তীতে ভূতাপেক্ষ ভাবে পুলিশের সর্বোচ্চ পদ – আইজিপি পদে পদোন্নতি করেন।
অবসরকালে তিনি দৈনিক “কালের কন্ঠ” সহ বিভিন্ন পত্রিকার একজন নিয়মিত কলামিস্ট ছিলেন।
পত্রিকার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক হিসেবে নিয়মিত টক শোতে অংশগ্রহণ করতেন। তিনি একজন লেখক সমাজ, প্রশাসন ও ইতিহাস বিষয়ে তাঁর লেখা অনেকগুলো বই প্রকাশিত হয়। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র , এক কন্যা এবং অজস্র প্রিয় স্বজন ও শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন। তাঁর আপন ভাগনে আবু হেনা মোরশেদ জামান বর্তমানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ব্যক্তিগত ভাবে অত্যান্ত সৎ বাবে জীবন যাপন করতেন।
আজ তাঁর গ্রামের বাড়ী সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডে
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দিয়ে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্হানে দাফন করা হবে বলে সীতাকুণ্ড ইউ এন ও, এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান।