নজরুল ইসলাম, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৩ সম্পন্ন হয়েছে। এতে ১২১ ভোট পেয়ে প্রগতিশীল আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের এক প্যানেল থেকে অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের অন্য প্যানেল থেকে অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান পেয়েছেন ১১৪ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে ১২১ ভোট পেয়ে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের এক প্যানেল থেকে অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের অন্য প্যানেল থেকে অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক ৯০ ভোট পেয়েছেন।
বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোটগনণা শেষে রাত ১০ টায় রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
এর আগে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের ৪২৯ নম্বর কক্ষে এ ভোটগ্রহণ চলে। এতে ৪০৮ জন শিক্ষকের মধ্যে ২৮২জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে ৬টি ভোট বাতিল বলে গণ্য হয়।
নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে ১২৩ ভোট পেয়ে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের এক প্যানেল থেকে অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের অন্য প্যানেলর অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন ১০৬ ভোট পেয়েছেন। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের এক প্যানেল থেকে অধ্যাপক ড.ধনঞ্জয় কুমার ১১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের অন্য প্যানেলর সহযোগী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ১০৭ ভোট।
এছাড়াও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের এক প্যানেল থেকে কোষাধ্যক্ষ পদে অধ্যাপক ইব্রাহিম আব্দুল্লাহ ১১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের অন্য প্যানেলর অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ পেয়েছেন ১০১ ভোট।
সদস্য পদে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের এক প্যানেল থেকে নির্বাচিতরা হলেন অধ্যাপক ড. আহসান-উল- আম্বিয়া (১২৬), অধ্যাপক ড. মিয়া মোঃ রাসিদুজ্জামান (১১৫), অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমান (১২৬), সহযোগী অধ্যাপক কে.এম. শরফুদ্দিন (১২৫), সহকারী অধ্যাপক সাহিদা আখতার (১১৪)।
আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের অন্য প্যানেল থেকে নির্বাচিতরা হলেন অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল (১২৭), অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা (১১১), অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান ( ১১২), সহযোগী অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন ( ১২২), সহকারী অধ্যাপক মাজেদুল হক (১২০)।
নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.মামুনুর রহমান বলেন, “নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আমাদের উপর কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য আরোপিত হয়। সেই দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে কাজ করে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক কার্যক্রম সুন্দর ও সমুন্নত রাখতে, আরো উন্নত করতে কাজ করে যাবে।
নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে এবারের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আমি সকল শিক্ষককে সাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারকদের মতামতের ভিত্তিতে কাজ করবো।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রের হাইকমান্ডের নির্দেশনায় প্রতিবাদস্বরূপ নির্বাচন বর্জন করছেন বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠনগুলো। জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গ্রীন ফোরাম এবারও নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তবে এবারও তাদের ভরাডুবি দেখা গেছে। একটি পদেও জয়ী হতে পারেনি এ প্যানেলর কেউ। এদিকে প্রগতিশীল আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের মধ্যকার পদ বন্টনে সমঝোতা না হওয়ার দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন তারা। এর মধ্যে বর্তমান শাপলা ফোরামের হয়ে একটি প্যানেল অংশ নিয়েছেন। অন্যটি আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের হয়ে অংশ নিয়েছেন।