ইবি প্রতিনিধি:
বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নবীন ছাত্রকে র্যাগিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত ৫ জনকে একটি সেমিস্টার থেকে সাময়িক এবং অন্য একজনকে মেডিকেলে ভাঙচুরের দায়ে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত ১৯ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির ১২তম সভায় অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে গঠিত কমিটির সুপারিশ ও মৌখিক শুনানীর আলোকে এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এইচ এম আলী হাসানের সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
স্থায়ী বহিষ্কৃত আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্যসহ অন্যান্য বহিষ্কৃতরা হলেন সাদমান সাকিব, মিজানুর রহমান ইমন ও হিশাম নাজের শুভ, শাহরিয়ার হাসান ও শেখ সালা উদ্দীন। তারা সবাই হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩ টায় হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ তাহমিন ওসমানকে র্যাগিং ও ১০ জুলাই আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্যের মেডিকেলে ভাঙচুরের ঘটনায় উপাচার্য ১০ সেপ্টেম্বর পাঁচ সদস্য ও ৩১ জুলাই তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও ৫ নভেম্বরে অভিযুক্তদের মৌখিক শুনানী এবং ১৯ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির ১২তম সভায় অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় এনে গঠিত কমিটির সুপারিশ ও মৌখিক শুনানীর আলোকে ছয়জনকে বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়।
এর আগে গত ১০ জুলাই এ্যাম্বুলেন্স দিতে দেরি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে হামলা ও ভাংচুর করে রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য। এ ঘটনায় তাকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছিল। এবং তার অন্য দুই সহযোগীকে সতর্ক করা হয়। অন্যদিকে গত ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বর্তমান বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে একই বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠে।