ইবি প্রতিনিধি:
পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা
শনিবার ( ২৫ নভেম্বর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে দুপুর ২টার শিফটে থাকা গাড়িগুলো আটকে যায়। এবং ভোগান্তিতে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এর আগে, দুপুর ১২ টার দিকে একই দাবিতে বিভাগের সভাপতির কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, ২৮ নভেম্বরের মধ্যে নন ক্রেডিট পরীক্ষা নিতে হবে, এই মাসের মধ্যে চতুর্থ বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু করতে হবে, শীতের ছুটির আগে ভাইবা শেষ করতে হবে, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে রেজাল্ট প্রকাশ করতে হবে এবং পরীক্ষার রেজাল্ট মার্কশিটসহ প্রকাশ করতে হবে।
জানা যায়, ইসলামে ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষের ২য় সেমিস্টারে নন-ক্যাডিট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ পরীক্ষায় ৮জন শিক্ষার্থী ফেল করে। তবে ফেল করা বিষয়ে তখনই রি-টেক নেওয়ার কথা। তবে ৩ বছর পার হয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ কোন রি-টেক নেয়নি এবং এ বিষয়ে কোন নোটিশও দেয়নি। তবে ৪র্থ বর্ষের ফাইনাল সেমিস্টারে এসে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়।
এদিকে ৪র্থ বর্ষের ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল গত ৩১ অক্টোবর। তবে ফেল করা ৮জন শিক্ষার্থীর জন্য পরীক্ষা আটকে যায়। তাদের পরীক্ষা নেয়ার কথা থাকলেও গত দেড় মাসে কর্তৃপক্ষ তাদের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। এ নিয়ে ১১ নভেম্বর বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভাগের সভাপতির কাছে আবেদন করে। আবেদনের পর বিভাগের শিক্ষকরা একটি প্রাথমিক মিটিং করে। তবে এ মিটিংয়ে কোন সুরাহা হয়নি বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, এ বিষয়ে গত ২১ ও ২২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিসে যান। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিষয়টি উপাচার্যকে অবগত করেন। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের সাথে বিভাগের সভাপতিকে পরামর্শ করে তার সাথে দেখা করতে বলেন।
এদিকে আজ শনিবার সকালে বিভাগের সভাপতি তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। এর পরপরই এসব দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে নামেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি কিছুদিন ছুটিতে ছিলাম। ছুটি শেষে এসে দেখি পরীক্ষা হয়নি। বিভাগে কিছু জটিলতা ছিল, আশাকরি দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে।
পদত্যাগপত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। বিভাগের শিক্ষকরা আমাকে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে বলেছে। আমি ভেবে দেখবো।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, যেহেতু এটা বিভাগের বিষয় এটার সমাধান বিভাগেই হবে। এ নিয়ে গেটে তালা দেওয়া অযৌক্তিক।