সংবাদদাতাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।
এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের জালিয়াতির অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিওকে নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়েছে।
গত বুধবারে ফিরোজুর রহমানের সমর্থনকারী এক শতাংশ ভোটারের মাধ্যমে নির্বাচিত ১০ জন ভোটারের একজন স্বাক্ষর করেনি মর্মে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন এমপির পি এস। এরফলে গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে ফিরোজ রহমান ওলির মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক শাহগির আলম। পরবর্তীতে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন।
নির্বাচন কমিশনে করা তার আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার মনোনয়ন পত্রটি বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ আসনে মনোনয় পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী। ফিরোজুর রহমান ওলিও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ছিলেন । ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নে টানা পাঁচবার নির্বাচিত হয়ে ২৬ বছর যাবত চেয়ারম্যান ছিলেন।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে সদর উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী থেকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। তবে সম্প্রতি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দিলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষের লোকজন থেকে বিভিন্নভাবে বাধার শিকার গ্রস্ত হন বলে অভিযোগ উঠেছে ।
গত বুধবারে ফিরোজুর রহমানের সমর্থনকারী এক শতাংশ ভোটারের মাধ্যমে নির্বাচিত ১০ জন ভোটারের একজন স্বাক্ষর করেনি মর্মে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন এমপির পি এস। এরফলে গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে ফিরোজ রহমান ওলির মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক শাহগির আলম। পরবর্তীতে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশন আপিল করেন।
এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আপিলে আমার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশন। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। জনগণ আমার জন্য দোয়া করেছেন। সবাই আমার পাশে থাকায় কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাঃ সাদিকুল ইসলাম বলেন , ফিরোজুর রহমানের করা আপিলের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠাবে নির্বাচন কমিশন।বৈধ প্রার্থীদের তালিকায় তার নাম যুক্ত হবে এবং প্রতিক বরাদ্দের দিন তাকেও প্রতিক বরাদ্দ দেওয়া হবে।