“আজ বিশ্ব ডাক দিবস”
মেহেরপুর সদরে ডাক বিভাগের কার্যক্রম চলছে ভাড়া বিল্ডিং নিয়ে
মেহেরপুর জেলা (সদর) প্রতিনিধি:
মো:আসাদুজ্জামান খান
সাত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত, মেহেরপুর সদরের প্রধান ডাকঘর নির্মাণের কাজ দুই বছরেও শেষ হয়নি। ফলে শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার একটি বাড়ির একতলা ভাড়া নিয়ে চলছে ডাকঘরের কার্যক্রম।
আজ ৯ অক্টোবর সোমবার বিশ্ব ডাক দিবস। প্রতি বছর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো, বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ডাক অধিদপ্তর দিবসটি পালন করে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে, মেহেরপুর প্রধান ডাকঘরের পোস্টমাস্টার কিছু জানাতে পারেননি। এমনকি ডাক অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেও এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোন তথ্য দেয়া নেই।
১৮৭৪ সালের ৯ অক্টোবর সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে, ২২টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গঠিত হয় “ইউনির্ভাসেল পোস্টাল ইউনিয়ন”। পরে এ সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতিসংঘে উত্থাপিত একটি প্রস্তাব পাসের মাধ্যমে ১৯৬৯ সালে ৯ অক্টোবরকে বিশ্ব ডাক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়ন, (ইউপিইউ) ও আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) সদস্যপদ লাভ করে। এরপর থেকে দেশে প্রতি বছর বিশ্ব ডাক দিবস পালিত হয়ে আসছে।
মেহেরপুর পোস্ট অফিসে এ দিবসটি উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তর ও মেহেরপুর পোস্ট অফিসের উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে গেলে নির্দিষ্ট কোন তথ্য দিতে পারেননি মেহেরপুর প্রধান ডাকঘরে কর্তব্যরত পোস্টমাস্টার। তবে বলেছেন ডাক অধিদপ্তর থেকে মেহেরপুর প্রধান ডাকঘরে মাত্র তিন পিস পোস্টার পাঠানো হয়েছে।
ভূমি সেবা, ড্রাইভিং লাইসেন্স, চিঠি বুকিং ও বিলিতে এসএমএস সার্ভিস নতুন তিনটি সেবা চালু হওয়াতে ডাক বিভাগ মানুষের কাছে নতুন করে আস্থার জায়গা ফিরে পাচ্ছে।
সরজমিনে মেহেরপুর প্রধান ডাকঘরে যেয়ে জানা যায়, মেহেরপুর সদরের প্রধান ডাকঘরের অধীনে, একটি উপজেলা পোস্ট অফিস (গাংনী) ও তিনটি সাব পোস্ট অফিস রয়েছে। সেগুলো হলো আমঝুপি সাব পোস্ট অফিস, বড়বাজার সাব পোস্ট অফিস ও কোর্ট সাব পোস্ট অফিস। এছাড়াও ৩০ টি শাখা ডাকখর রয়েছে।
মেহেরপুর প্রধান ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার জহুরুল হক বলেন, “নতুন ভবনের কিছু কাজ এখনো বাকি রয়েছে। আশা করছি দুই মাসের মধ্যে নতুন ভবনে যেতে পারবো। অতীতে সব মিলিয়ে দিনে প্রায় এক হাজার চিঠির আদান প্রদান হতো। তবে বর্তমানে সাধারণ চিঠির সংখ্যা কমে গেলেও রেজিস্ট্রি যোগে পাঠানো চিঠির সংখ্যা বেড়েছে, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর সহ ব্যক্তিগত রেজিস্ট্রি চিঠি এখন প্রতিদিন প্রায় এক হাজার করে আদান প্রদান করা হয়। তবে সাধারণ চিঠি প্রদানের হার প্রায় শূন্যের কোঠায়। বিভিন্ন সরকারি স্কিম ও ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের সাধারণ এবং মেয়াদী হিসাব মিলিয়ে জেলায় প্রায় ১০ হাজার সেবা গ্রহীতা রয়েছেন। তারা কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই সেবা পাচ্ছেন। এছাড়া সদ্য চালু হয়েছে সবচেয়ে কম খরচে টাকা পাঠানোর জন্য ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেম (ইএমটিএস)। এক সময়ের জনপ্রিয় পোস্টাল ক্যাশ কার্ড সেবা জনসচেতনতার অভাবে প্রায় বন্ধ।”