দেলোয়ার হোসাইন মাহদী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি 🙂
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের এ বিদায় আমাদের জন্য যেমন স্বস্তির, তেমনি একটি শিক্ষাও। ভবিষ্যতে কেউ যদি অন্যায় অবিচার করে তাদেরও একই ধরনের বিচার হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলাস্থ চম্পকনগর কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ছাত্র-জনতার আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের জুলুম নির্যাতনের কারণে মানুষ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। যার কারণে তাদের পাশে কেউ দাঁড়ায়নি। নিজেদের অপকর্মের কারণে শেখ হাসিনা পালিয়েছে। আমরা এখনও ক্ষমতায় আসিনি। মাত্র টেস্ট পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছি। সামনে আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা আছে। তাই সাধারণ মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। মানুষকে মূল্যায়ন করতে হবে। বিএনপি জনগণের ভোটের নির্বাচিত হতে চায়। আমরা ছাপানো ভোটে নির্বাচিত হতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করেছিল জনগণের ভোট তাদের প্রয়োজন নাই। তাদের দরকার প্রশাসন। তারা প্রতিটি নির্বাচনের আগের দিন ভোট ছাপিয়ে রেখেছিলো। ২০২৪ এর নির্বাচনে বিএনপিকে বাইরে রেখে সিলেকশনের মাধ্যমে জয়লাভ করেছিল। শুধু জাতীয় নির্বাচন নয় স্থানীয় নির্বাচনেও জনগণের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল না। চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা যারা টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন নিবে তারাই জয়লাভ করত। এজাতীয় নির্বাচনের কারণে তারা জনবিচ্ছিন্ন ছিল।
উক্ত অনুষ্ঠান উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জমির হোসেন দস্তগীরের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট ইমাম হোসেনের সঞ্চালনায় শুরু হলে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা (কচি) ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকনসহ জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাএদল ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রায় সকল নেতৃবৃন্দই উপস্হিত ছিলেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেবে না বলেও বক্তব্য দেন। এসময় তারা নতুন বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে দেখতে চান বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।