অবিশ্বাস্য তাজ্জব ঘটনা বাংলাদেশে সুস্বাদু টসটসে মজাদার হলুদ কমলা । কমলা চাষ ।

ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি মোঃ অমিদ হাসান

ডাল ভর্তি কমলা ঝুলে আছে গাছের ডালে। আকারে বড় হলুদ দৃষ্টিনন্দন এই কমলা খেতেও বেশ সুস্বাদু। একেবারে অজপাড়গায়ে সমতল ভুমিতে এই উন্নতমানের দার্জিলিং কমলা চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ঝিনাইদহের কৃষক রফিকুল ইসলাম। ইতিমধ্যে কমলা বিক্রি করে বেশ টাকা উপার্যনও করেছেন। আর প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আসছেন তার এই কমলার ক্ষেত দেখতে।
রফিকুল ইসলাম ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার চাপাতলা গ্রামের আইনুদ্দীন মন্ডলের ছেলে। তিন ভাই পাঁচ বোনের মধ্যে রফিকুল দ্বিতীয়। রফিকুল ইসলামের এই কমলার ক্ষেতটি ঝিনাইদহ জেলা শহর থেকে ৬৪ কিলোমিটার দূরে ভারত সীমান্তবর্তী মহেশপুর উপজেলার স্বরুপপুর ইউনিয়নের চাপাতলা গ্রামে অবস্থিত।তিনি ২০০২ সাল থেকে নার্সারী ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তার মাঠে চাষযোগ্য মাত্র ১ বিঘা জমি ছিল। নার্সারী ব্যবসার পাশাপাশি এই জমিতে চারা তৈরী করতেন। যা বিক্রি করে সংসার চলতো কোনরকমে। রফিকুল এই কমলা চাষে আশাতীত সফলতা পেয়ে চলতি বছর আরো ৫ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে দার্জিলিং জাতের কমলা চাষ করেছেন। প্রতিদিনই শত শত দর্শনার্থীরা রফিকুলের বাগানে কমলা দেখতে ভিড় জমাচ্ছে। অনেককে কমলা খেতেও দিচ্ছেন তিনি। রফিকুল আরো জানান, কমলা বিক্রির টাকায় গ্রামে মাঠে ১০ কাঠা জমিও কিনেছেন।
তিনি ২০১৬ সালের মাঝামাঝি ভারত বেড়াতে যান। সেখানে গিয়ে কমলার ক্ষেত দেখেন এবং ওই দেশের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এক পর্যায়ে ওই কৃষকদের কাছ থেকে তিনি ২০০ পিচ চারা নিয়ে আসেন। ভারতের কৃষকরা প্রতিটি চারার মুল্য নেন ১’শ টাকা। এই চারা রোপনের তিন বছর পর ২০১৯ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে তার গাছে কমলা আসতে শুরু করে। আগষ্ট মাস থেকে বিক্রি করছেন। আর এ বছর মার্চ মাসের দিকে আবারো নতুন ফল দেখা দেয়। এখন পুরো বাগান জুড়েই হলুদেও সমারোহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *