পাভেল ইসলাম মিমুল রাজশাহী ব্যুরো:
এবার কুষ্টিয়া(ত্রিমোহনী)-মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কে গাছ অপসারনের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সওজের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে টিপু সুলতান নামে এক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে।
সে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার বিজ নগর গ্রামের মৃত শামসুদ্দিনের পুত্র।
স্থানীয় সুত্র জানায়,সংশ্লিষ্ট সড়কে নির্বাহী বৃক্ষপালনবিদ, সওজ,রাজশাহী দপ্তর থেকে গাছগুলিকে ১২ টি গ্রুপে বিভক্ত করে নিলাম দরপত্র আহ্বান করা হয়।
দপ্তর কতৃক প্রদত্ত তথ্য থেকে দেখা যায় যে,স্বচ্ছ প্রক্রিয়া ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বহু সংখ্যক ঠিকাদারের অংশ গ্রহনের মাধ্যমে নিলাম প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। খুব উচ্চ মূল্যেই গাছ গুলি বিক্রয় হয় এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যথাসময়ে অনুমোদিত হয়। তবে টিপু সুলতানের মিথ্যা অভিযোগের কারনে থমকে যায় সব কার্যক্রম। পরববর্তীতে মালিকানা নিষ্পত্তিতে উক্ত সড়কে চেইনেজ:৭+৫০০ থেকে ১৩+৫০০ পর্যন্ত গাছ কর্তনের উপর মহামান্য আদালত কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা এবং নিষেধাজ্ঞা পরবর্তীতে মহামান্য আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায় অনুযায়ী সওজ কর্তৃপক্ষ গাছ অপসারন শুরু করতে গেলে টিপু সুলতান মহামান্য আদালতের রায়কে অবজ্ঞা করে এবং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে তবে তার এই অনৈতিক বিষয়টিকে প্রত্যাখান করার কারনে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ভাবে মামলা-মকদ্দোমার হুমকি প্রদান, ক্ষুদে বার্তা প্রেরনের মাধ্যমে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। সুবিধা করতে না পেরে নির্বাহী প্রকৌশলী,সওজ, কুষ্টিয়া এবং নির্বাহী বৃক্ষপালনবিদ,সওজ,রাজশাহীকে নিয়ে বানোয়াট ও মিথ্যা তথ্য সংবলিত একটি সংবাদ সম্মেলন করে সম্মানহানী ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করেন।
এছাড়াও তিনি অনলাইন মিডিয়া ও সংবাদপত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রদান করেই চলেছেন। অথচ আদালতের রায়ে সুস্পষ্ট ভাবে নির্দেশনা রয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর উল্লেখিত সড়কটির গাছ কর্তন করবে এবং চুক্তিনামা অনুযায়ী উপকারভোগীগন গাছের জ্বালানির ৬৫% পাবে।
এ বিষয়ে টিপু সুলতানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি টেন্ডার ড্রপ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু কর্মকর্তারা আমার কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন। আমি সেটা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।আরন বর্তমানে কুষ্টিয়ার যে কর্মকর্তা রয়েছে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে আমার কাছে এবং বিভিন্ন জায়গায় তিনি লাঞ্ছিতও হয়েছেন।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে,কোন ধরনের ট্রেন্ডার ড্রপ করেননি অভিযুক্ত টিপু সুলতান।শুধু তাই নয় অভিযোগ রয়েছে নিমতলা সুফলভোগী সমবায় সমিতি চালান সেটি কোন সরকারি নিবন্ধকৃত নয় এবং ওই সমবায় সমিতির তিনি কোন সদস্য না।
এ বিষয়ে নির্বাহী বৃক্ষপালনবিদ জানান,রায়ে যে চেইনএজ এর কথা বলা হয়েছে তার ভিতর অবস্থিত ৯টি গ্রুপের মধ্যে ৬টি গ্রুপের গাছ কাটা শেষ হয়েছে এবং বাকিগুলি আপাতত বন্ধ রয়েছে। আদালতের রায় অনুযায়ী তাদের প্রাপ্যতা বুঝিয়ে দিতে নিমতলা সুফলভুগী সমবায় সমিতির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগা করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি এবং একাধিক পত্র প্রদানও করা হয়েছে, কিন্তু তারা অদ্যাবধি কোন সাড়া প্রদান করেন নি। সরকারি কাজে বাধা,মিথ্যা,বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদানের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সম্মানহানী ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার ব্যাপারে টিপু সুলতানের বিরুদ্দে সামগ্রিক বিষয় নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গাছ অপসারনের কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান,উচ্চ মূল্যে কাজ পেলেও টিপু সুলতানের রিটের কারনে গাছ কাটতে বিলম্ব হয়েছে এবং আবারো সমস্যা সৃষ্টি করে ৩ গ্রুপের গাছ কর্তন বন্ধ করে রেখেছে। তারা আরো বলেন নিমতলা সুফলভুগী সমবায় সমিতি কোন নিবন্ধিত সমিতিই নয় এবং সওজের সাথে তাদের কোন চুক্তিই হয়নি। মুলত সওজের সাথে মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের চুক্তি হয়েছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,টিপু সুলতান অনিবন্ধিত সমবায় সমিতির ব্যানারে মামলা করেন।টিপু সুলতানের সাথে সওজের কোন চুক্তি নাই। মধ্যভোগী হয়ে নিমতলা সুফলভুগী সমবায় সমিতির ব্যানারে ফায়দা লুটার চেষ্টা করেছেন মাত্র। চুক্তি নামার বয়স প্রায় ৩০ বছর হলেও সেখানে ৪০-৫০ বছর বয়সী গাছও রয়েছে,যা কোন অবস্থাতেই টিপু সুলতানের দাবির সাথে সংগতিপূর্ন নয়।
সওজের সাথে চুক্তিানমার ৫ নং ক্লজে সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ আছে কাঠ উৎপাদনকারি বৃক্ষ প্রথম পক্ষ অর্থাৎ সওজের সম্পত্তি হবে এবং উপকারভুগীগন জ্বালানীর ৬৫% পাবে। তথাপিও একজন টিপু সুলতানের এমন প্রতিহিংসা মুলক আচারনের কারনে থমকে আছে সওজের কুষ্টিয়া-
মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের কুষ্টিয়া থেকে মেহেরেপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্থকরন কার্যক্রম আর এ বিপাকে পড়েছেন পথচারীরা। সর্বোচ্চ আদালতের রায় অবমাননা ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানকারী টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি স্থানীয়দের।