মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু
স্টাফ রিপোর্টারঃ
আসন্ন আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের সক্ষমতাকে সক্রীয় করতে জনসমাবেশে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ৪৮ নওগাঁ-৩ (বদলগাছী- মহাদেবপুর ডঃ আকরাম হোসেন চৌধুরী সদস্য নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ ও সাবেক এমপি, বর্তমান এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার ছেলিম সভাপতি মহাদেবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সদস্য নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মিঃ সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী (সৌরন)।
এই তিন নেতা আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মননোয়ন প্রত্যাশী। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় জানার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে জাতীয় নির্বাচন কে সামনে রেখে ২০০৯ সালে ডঃ আকরাম হোসেন চৌধুরী এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হোন এবং কিছু অনিয়মের কারণে বর্তমাব সাংসদ ছলিম উদ্দিন তরফদার ২০১৪ সালে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রাপ্ত ডঃ আকরাম হোসেন চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়েন এবং দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। লড়তে আগ্রহী প্রার্থীদের তালিকা দিন দিন বড় হচ্ছে।
তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরে ছিলেন ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী। নেতাদের মধ্যে রীতিমতো দলীয় মনোনয়ন ২০১৮ সালে দলের মনোনয়ন পান ছলিম উদ্দিন তরফদার ছেলিম এ নিয়ে, তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। মনোনয়ন বাগাতে উপর মহলে তদবির শুরু। নির্বাচন না করার কঠোর হুশিয়ারী থাকায় করেছেন তৃণমূলের আগ্রহী নেতারা। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বাড়ানো, সশরীরে হাজিরা দেয়া, ক্ষমতাধর নেতাও দলের হাই কমান্ডের কাছে এমপি-মন্ত্রীদের আশীর্বাদ নেয়ার ধুম নিজেদের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে পড়েছে প্রার্থীদের মধ্যে। যদি একবার জোর দাবি জানিয়ে আসছেন।
এছাড়াও নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার লড়াইয়ে নির্বাচনী ব্যাপক প্রচারণায় আলোচনায় রয়েছেন, মিঃ সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী (সৌরেন) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তবে চলমান আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জানান শুধু মাত্র পোষ্টারেই রয়েছেন দিয়ে সীমাবদ্ধ তা নয় করছেন নিয়মিত সুধী সমাবেশ, সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে এরই মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে নিজেদের জানান দিচ্ছেন অনেক নেতা।
দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন, টানা দ্বিতীয় মেয়াদে এই আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম, সাবেক সংসদ সদস্য ড. আকরাম লীগের কার্য নির্বাহী সদস্য নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ ও গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব মিঃ সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী (সৌরেন), গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল কবির এবং একমাত্র নারী মনোনয়ন প্রত্যাশী বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহঃ সভাপতি সখিনা সিদ্দিকী।
। ওই সময় দলের মনোনীত প্রার্থী ছলিম উদ্দিন তরফদার। তবে দলের বিপক্ষে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি কেউ।
বর্তমানে এই দুই সাবেক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল কবির বলেন, মত প্রকাশ করেছেন দলের অধিকাংশ তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা। জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানান, আওয়ামী লীগ বৃহৎ একটি দল। তাই দলে মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যাও বেশী। তবে জনসমর্থন, জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার বিচার বিবেচনা করে কেন্দ্রে তালিকা পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন ঘোষণা করা হবে। কেন্দ্র যাকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে তার হয়ে কাজ করবে স্থানীয় নেতা কর্মীরা।
ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে ১০৮ জন ব্যর্থ এমপি মন্ত্রীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যার মধ্যে নওগাঁ জেলায় ২ জন রয়েছে।
তবে দলের দলের একাধিক নেতাদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, অবাদ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে এই আসনে আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন, বদলগাছি উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলে হুদা বাবুল, সাবেক ডেপুটি স্পীকারের পুত্র পারভেজ সিদ্দিকী জনি, মহাদেবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রবিউল আলম বুলেট।
তবে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির একাধিক নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, গত কয়েক বছরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি। পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া, ভোট কারচুপি, সিলমারা জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সরকার জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনে বিএনপিকে ঠেকাতে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে উলঙ্গভাবে ব্যবহার করছে এ সরকার। তাই এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেয়া ঠিক হবে না। তবে আমাদের দাবী আদায়ে চলমান আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে বলেও জানান তারা।