সাদ্দাম উদ্দিন রাজ নরসিংদী জেলা
নরসিংদীর মাধবদীতে অটোচালক নুরুল ইসলাম হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে নরসিংদী জেলা পুলিশ। মাত্র ২৪ দিনের মধ্যে এ হত্যার রহস্য উদঘাটন হলো বলে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম) জানান। নিহত মোঃ নুরুল ইসলাম মাধবদী থানার ভাটপাড়া গ্রামের মৃত কাসেম আলীর ছেলে। এঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানাধীন পাথরপাড়া গ্রামের মজিবর মিয়ার ছেলে বাচ্চু মিয়া (২৭), একই থানার বালুসাইর গ্রামের মোকসেদ আলীর ছেলে সোহেল মিয়া (৩২), পাথরপাড়া গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে হৃদয় (২৭) ও একই গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে নবী হোসেন (৩৫)।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম) এক সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুপার জানান, চলতি বছরের ১৫ জুন সদর উপজেলার মাধবদী থানাধীন ভাটপাড়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা অটোচালক মোঃ নুরুল ইসলাম প্রতিদিনের মত তার ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে নিজ বাড়ি থেকে বের হন। এদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার ভাইকে মোবাইল ফোনে বলে, তার ব্যাটারিচালিত রিকশাটি যাত্রীবেশি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। খবর পেয়ে তার আত্মীয়-স্বজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরেরদিন অর্থাৎ ১৬ জুন সকালে নরসিংদী-মদনপুরগামী রাস্তার মাধবদী থানাধীন নরসিংদী-মদনপুরগামী দামেরভাওলা এলাকার একটি বরই গাছের সঙ্গে গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় অটোচালক নুরুল ইসলামের মৃতদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিউলি বেগম অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মাধবদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগের তত্ত্বাবধানে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এর নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন রনি সহ সঙ্গীয় ফোর্সের সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার, ছিনতাইকৃত ব্যাটারিচালিত রিকশা উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন। ৯ জুলাই (মঙ্গলবার) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বাচ্চু মিয়া নামে একজনকে মাধবদী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ সহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে একই দিনে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারা স্বাকীরোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।