সেচ পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় নষ্ট হচ্ছে কৃষকদের ৮০ বিঘা জমির রোপনকৃত ইরি ধান।
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের চর বলদিয়া খোচা বাড়ির চর এলাকায় সেচ পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় বিপাকে পড়েছে কৃষকেরা। নষ্ট হচ্ছে কৃষকদের রোপনকৃত ধানের ধারা গুলো। এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর সেচ পাম্পের পূর্ণ সংযোগ চেয়ে আবেদন করেছেন আ: হাই মিয়া ও নুরুল হক নামের ২ জন সেচ পাম্পের মালিক।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের চর বলদিয়া খোচা বাড়ি এলাকায় গত ০৪ ফেব্রুয়ারী ২ টি সেচ পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় ৭০/৮০ বিঘা জমিতে রোপনকৃত ইরি ধানের চারা গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেচ পাম্পের পূর্ণ সংযোগের আবেদন সুত্রে জানা যায়, হিসাব নম্বর- ১১/৫২২/৭১৬৫ ও ১০৫০০৫৫২২১১৪০ এর ২ টি সেচ পাম্পে প্রায় ৮০ বিঘা কৃষি জমিতে কৃষকেরা ইরি ধান রোপন করে আসতে থাকায় গত ০৪/০২/২০২৪ ইং তারিখে সেচ পাম্প ২ টির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আসে (বিএডিসি) ও বিদ্যুৎ অফিসের লোক জন। আরো জানা যায় সংযোগ বিচ্ছিন্নর সময় তারা থানা পুলিশ সাথে নিয়ে সেচ পাম্প ২ টির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এই ভরা মৌসুমে সেচ পাম্পের সংযোগ কাটায় রোপনকৃত ইরি ধান গুলোতে পানি দিতে না পারায় বিপাকে পড়েছে চাষিরা। সরেজমিনে গিয়ে সেচ পাম্পের মালিক আ: হাইয়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাকে অফিস হতে একটি নোটিশ করে ছিলো ৭ দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে কিন্তু (এলএলপি)’র ম্যানেজার এনামুল আমাকে নামে আসামি করে মামলা করায় আমি সঠিক সময়ে নোটিশের উত্তর দিতে পারি নাই। পরে তারা এই ভরা মৌসুমে আমার সেচ পাম্পের সংযোগ টি কেটে দিয়ে যায়। পরে আমি পূর্ণ সংযোগ পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ভূরুঙ্গামারী বরাবরে একটি আবেদন করেছি, আমি ইউএনও স্যারের প্রতি আশাবাদী স্যার আমাদের কৃষকদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমার সেচ পাম্পের পূর্ণ সংযোগ টি দেওয়ার সুব্যবস্থা করে দিবে। অপর আরেক টি আবেদন কারী মো: নুরুল হক বলেন আমারও সেচ পাম্পের সংযোগ টি কেটে দিয়েছে। আমার সেচ পাম্পে ৪০ বিঘা জমিতে ইরি ধান রোপন করা হয়েছে। ৪ দিন থেকে জমি গুলোতে পানি দিতে পারছি না, তাই আমি পূর্ণ সংযোগ চেয়ে ইউএনও স্যারের বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেছি।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা সেচ পাম্প ২ টির আওতায় ইরি ধান চাষাবাদ হয়েছে প্রায় ৭০/৮০ বিঘা। পার্শ্ববর্তী স্থাপন করা বিএডিসি কর্তৃক (এলএলপি)’ আওতায় ঐ আবাদি জমি গুলো নিয়ে আসতে একটি প্রভাব খাটিয়ে ঐ সেচ পাম্প ২ টির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এমন কি সেচ পাম্পের মালিক আ: হাইসহ ৭ জনের নামে একটি মামলাও দেওয়া হয়েছে। এই দ্বন্দ্বের কারণে জমি গুলোতে পানি দিতে না পারায় রোপনকৃত ধান গাছ গুলো মরে যাচ্ছে। এমন কি ধান ক্ষেতের কিছু কিছু জায়গায় মাটি পর্যন্ত ফেঁটে যাচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: গোলাম ফেরদৌস এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, পূর্ণ সংযোগের জন্য আবেদন করতে বলেন আমি বিষয় টি দেখতেছি।হ