মোঃরিয়াজ মাহমুদ
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমন্তাজ ইউনিয়নে অবৈধভাবে গঠনতন্ত্র পরিপন্থী আওয়ামী যুবলীগের কমিটি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ২ সেপ্টেম্বর রিপন মৃধাকে সভাপতি ও আল আমিন হাওলাদার কে সাধারণ সম্পাদক করে ইউনিয়ন যুবলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি প্রদান করে উপজেলা যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি হুমায়ুন কবির তালুকদার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হাওলাদার। ওই কমিটির পরপরই ফুঁসে ওঠে তৃনমূল যুবলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রশ্ন ওঠে যে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদককে না জানিয়ে কোন গঠনতন্ত্র না মেনে উপজেলা যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি কিভাবে ইউনিয়ন কমিটি দিতে পারে।
পরে ওই কমিটি সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র পরিপন্থী এবং অবৈধ বলে গত ১২ সেপ্টেম্বর একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির ও সাধারণ সম্পাদক মিলন খলিফা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়ে যেহেতু আগামী ২৯ জুলাই রাঙ্গাবালি উপজেলা যুবলীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেছে পটুয়াখালী জেলা যুবলীগ। সেখানে জেলার প্রেস হওয়ার পরে কোন কমিটি গঠন এবং তাও আবার উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের অগোচরে যা সম্পূর্ন অবৈধ এবং যুবলীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।
চরমোন্তাজ যুবলীগ নেতা নুরু উদ্দিন হাওলাদার বলেন, যিনি গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও সম্পূর্ণ অবৈধভাবে কমিটি দিয়েছেন তিনি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন । গত সংসদ নির্বাচন সহ বিগত কয়েকটি নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করেছেন । এবং গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচনও করেছেন। যার কারনে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ।
যুবলীগ নেতা জসিম হাওলাদার বলেন, টাকার বিনিময় কেন্দ্রীয় এক যুবলীগের নেতার সহযোগিতা নিয়ে সম্মেলনের পূর্ব বিতর্কিত এ কমিটি দেয়া হচ্ছে । এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে সংঘাতে পরিনত হতে পারে । যুবলীগ সংঘাত চায়না শান্তি চায়।এবং নির্বাচনকে সামনে রেখে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করে সংঘবদ্ধ একটা যুবলীগ চায়।
যুবলীগ নেতা ডিপ্টি প্যাদা বলেন , জেলা কমিটি যেখানে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেছেন সেখানে নতুন করে কমিটি দেয়া সম্পূর্ণ অন্যায় ও অবৈধ । সম্মেলনকে বিতর্কিত করতে একটি মহল এ ধরনের অন্যায় কাজ করে যাচ্ছে ।
উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির বলেন গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতির পদ থেকে হুমায়ুন তালুকদার কে অব্যহতি প্রদান করা হয়।তাছাড়া যেখানে উপজেলা যুবলীগের সম্মেলনের দিন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে সেখানে এই কমিটি প্রদান সম্পূর্ণ হাস্যকর আবার ওই কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকেরও স্বাক্ষর নেই মানে পুরো কমিটিই অবৈধ।এসময় তিনি আরো বলেন কেন্দ্রীয় এক যুবলীগ নেতার আশির্বাদ পুষ্ট হওয়ায় নিজেদের মাই ম্যানদের দিয়ে ওই অবৈধ কমিটি করেছে।