পাভেল ইসলাম মিমুল রাজশাহী ব্যুরো:
রাজশাহীর স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ফাতেমা সিদ্দিকাকে বিষ্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। শনিবার (৪ নভেম্বর) সকালে নগরীর শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজশাহীর নগরীর বড়বনগ্রাম এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জামাত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও তাদের অর্থের যোগানদাতা হিসেবে তথ্য পায় পুলিশ।
ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন,শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের একটি দল ফাতেমা সিদ্দিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। ডা. ফাতেমা সিদ্দিকা জামায়াত ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। জিজ্ঞাসাবাদের তার সম্পৃক্ত পাওয়া যায়।
ওসি আরও বলেন,চলতি বছরের মে মাসে শাহমখদুম থানায় করা বিস্ফোরক আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় একটি মামলায়। জামাত-শিবির সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও তাদের অর্থের যোগানদাতার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে নগরীর বড়বনগ্রাম এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ডা. ফাতেমাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। রাতে রাজশাহী মহানগর জামায়াতের শূরা সদস্য মাজেদুর রহমান জানান, ডা. ফাতেমা জামায়াতের একজন সুধী হিসেবে অর্থ সহায়তা করে থাকেন।
রাজশাহীতে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে যে কয়জন চিকিৎসকের নামডাক রয়েছে তাদের মধ্যে ডা. ফাতেমা সিদ্দিকা অন্যতম। মাদারলান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার নামে তার একটি হাসপাতাল রয়েছে।
গত ৪ এপ্রিল ডা. ফাতেমা সিদ্দিকার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় রাজশাহীর উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ নিয়ে দুদক মামলা করে। এ মামলায় মহিবুল এখনও কারাগারে। মহিবুলের স্ত্রী রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) একজন সহকারী কমিশনার (এসি)।
গত ৭ সেপ্টেম্বর ডা. ফাতেমার বাসায় অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। সেদিন বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে ফাতেমার ছেলে নাজমুস সাকিবকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এক তরুণীকেও। বাড়িটি থেকে সেদিন মাদকদ্রব্যও জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে নাজমুস সাকিব ও ওই তরুণী আদালতে জামিন পান।