মোঃরিয়াজ মাহমুদ রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের আ: হাকিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ঝুঁকি পূর্ণ ব্রীজ থাকায় অতিরিক্ত ১ কিলোমিটার পথ হেটে যেতে হয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। আর এমনটি অভিযোগ করেন আ: হাকিম মাধ্যমিক বিদ্যায়েলর শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় বিদ্যালয়ের সামনে কাটালীর খালের উপর একটি ব্রীজ আছে, যাহা খুবই ঝুঁকি পূর্ণ। পারাপার হলে যে কোন সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। সেই ভয়ে ঐ বিদ্যায়েলর শিক্ষার্থীরা অন্য পথে অতিরিক্ত ১ কিলোমিটার পথ হেটে বিদ্যালয় পৌছেন।
এতে শিক্ষার্থীরা সময় মত বিদ্যলয় পৌছতে পারে না।
যেহেতু বর্ষার মৌসুমে হাটু সমান কাদামাটি থাকে তাই অনেক শিক্ষার্থীরা ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে বিদ্যালয়ে পৌছাতে হয়। এতে তাদের কষ্টের সীমা থাকেনা। শিক্ষার্থীদের দাবী ব্রীজ টি যেন দ্রুত সংস্কার করা হয়।
বড়রবাইশদিয়া আ: হাকিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ICT শিক্ষক মো: মাসূম বিল্লাহ বলেন, এই বিদ্যালয় প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ ছাত্র / ছাত্রী লেখা পরা করে। কিন্তু বর্ষার মৌসুমে সমস্ত রাস্তা ঘাট হাটু পরিমাণ কাদা হয়ে যায়। আর এই কাদামাটি পেরিয়ে ছাত্র / ছাত্রীরা বিদ্যালয় আসে এবং এতে তাদের কষ্টের সীমা থাকে না।
তার মধ্যে বিদ্যালয়ের সামনের ব্রীজটি খুব ঝুঁকি পূর্ণ যা দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চলা ফেরা করতে পারে না, যে কারনে অনেক শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ১ কিলোমিটার পথ হেটে বিদ্যালয় আসতে হয়। এতে তাদের শরীর দূর্বল হয়ে পরে এবং ক্লাসে পাঠদানের সময় অনুমযোগী হয়ে পরে। আমি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো যাহাতে ব্রীজটি পূর্ণ নির্মাণ করেন। এবং শিক্ষার্থীদের যেন আর কোন দূর্ভোগ পোহাতে না হয়।
বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোসাঃ রিমি ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রামে বর্ষার মৌসুমে হাটু পরিমাণ রাস্তায় কাদা থাকে, আমাদের ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার পথ হেঁটে বিদ্যালয় আসতে হয়। ব্রীজ টি ভাল থাকলে অন্তত ১ কিলোমিটার পথ আমাদের কমে যেত। বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো যাহাতে ব্রীজটি দ্রুত সংস্কার করেন।
বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: ফরাদ হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ব্রীজটি আমি দেখেছি এবং এলজিইডি অফিসে জানানো হয়েছে। সংস্কারের অনুমোদন পেলে এটার কাজ করে দিবে।