ফিরোজ রহমান স্টাফ রিপোর্টার :
মুজিবনগরে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওয়াতায় হতদরিদ্রের ৬৬ বস্তা(৩৩শ) কেজি চাল চুরি যাওয়ার ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলন করেছে মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে মুজিবনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম।
বক্তব্যে আমিরুল ইসলাম বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ১১০ জন সুবিধাভোগীর প্রায় ৩৩শ কেজি চাল সুবিধাভোগীদের না দিয়ে ডিলার মুজিবর রহমান উপজেলা বিএনপির নেতৃত্বে জোর করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ করে সুবিধাভোগী আজিম উদ্দিন। যা পুরো মিথ্যা ও মানহানির উদ্দেশ্য। আমিরুল ইসলাম আরও বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদে প্রায় ১৬ বছর জনগনের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ হয়েছে। এই ধরনের কোন অভিযোগ আমার সম্পর্কে দেওয়া তো দুরের কথা কোন দিন কেহ ভাবতেই পারেনি। তাই আমি মনে করি আজিমউদ্দিন গাজী কতৃক আমার ও আমার নেতাকর্মীদের নামে যে অভিযোগ দায়ের করেছে তা তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই মিথ্যা ও অসত্য অভিযোগের ফলে আমার ব্যক্তিগত ও দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক এবং সামাজিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। পাশাপাশি দলেরও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। আমি বিষয়টি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুনকে মৌখিকভাবে অবগত করেছি। আমার বিশ্বাস আজিমউদ্দিন গাজীর এই কুকর্ম যারা বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে চাই, বিভেদ করতে চাই তাদের একটি স্বার্থান্বেষী মহলের বহিঃপ্রকাশ। আমরা আজিমউদ্দিন গাজীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করার ব্যবস্থা নেবো।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রোকোনুজ্জামান রোকন, মহাজনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বশরাফুল ইসলাম কালু, দারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন, উপজেলা যুদলের আহবায়ক আবুল হাসান, সদস্য সচিব আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির,
এ ব্যাপারে ডিলার মুজিবুর রহমান জানান, যথাযথ নিয়ম মেনে আমি দীর্ঘদিন ধরে চালের ডিলার শিপের দায়িত্ব পালন করে আসছি। চাল চুরির কোন ঘটনা হয়নি। আমি সরকারি গোডাউন থেকে চাল উত্তোলন করে গোডাউনে মজুদ করে, পরবর্তীতে সুবিধাভোগীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চাল চুরির ঘটনা সম্পর্কে মুজিবনগর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা এম এম ইকবাল হোসেন বলেন, আমি ডিলারের সাথে লিখিতভাবে বিষয়টি জানতে চেয়েছি। ডিলার একটি লিখিত বক্তব্য দিয়েছে। আমরা একজন অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছি। তারা রিপোর্ট দিলে ঘটনার সঠিক তথ্য জানতে পারবো।
এব্যাপারে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই ব্যাপারে সুবিধাভোগী কোন ব্যাক্তির অভিযোগ পাইনি। তবে আজিমউদ্দিন নামের একব্যাক্তির অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।