মুজিবনগরে ফল ব্যবসায়ীর চাঁদাবাজীর মামলায় সাক্ষীদের অস্বীকৃতি

ফিরোজ রহমান স্টাফ রিপোর্টার:

১০ লাখ টাকা চাদা আদায় ও ৪০ লাখ টাকার ফল লুটপাটের অভিযোগে মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, ছাত্রলীগ নেতা, স্বাস্থ্য কমকর্তা, কলেজের অধ্যক্ষসহ ১৫৩ জনের নামের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) মেহেপেুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম (মুজিবনগর) আদালতে আসাদুল হক নামের এক ফল ব্যবসায়ী বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোট ৫ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। তবে ৫ জন সাক্ষীদের মধ্যে ৪ জন সাক্ষীই মামলার ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান। সাক্ষীদের মধ্যে ২ নং সাক্ষী সোহরাব খান তোতা তার নিজ ফেসবুকে মামলার ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। পরে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানতে পারি ফল ব্যাবসায়ী আসাদুক হক আমাকে সাক্ষী করে ১৫৩ জনের নামে চাঁদাবাজী ও ফল লুটের মামলা করেছে। পরে আমি মামলার ব্যাবপারে কিছু জানিনা বলে ফেসবুকে স্টাটাস দিয়েছি।
১ নং সাক্ষী ওমর আলী বলেন, ফল লুট ও চাঁদাবাজীর মামলার ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। এমনকি বাদীকে আমি ঠিকভাবে চিনিও না।
মামলার ৪ নং সাক্ষী জানান, ৫ জন সাক্ষীর মধ্যে কাউকেই বাদী কিছুই জানাইনি। এমনকি মামলার ঘটনা সম্পর্কে আমাদের কিছুই জানা নেই।
মামলার ৫ নং সাক্ষী হাবিবুল জানান, আমি মামলার ব্যাপারে কিছুই জানিনা। কিসের সাক্ষী, কোন মামলার সাক্ষী এসব কথা আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম।
এ ব্যাপারে বাদী আসাদুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদকে বলেন, আপনার সাথে কালকে কথা হবে। বিভিন্ন মাধ্যমে জানাগেছে মামলার বাদী আসাদুল হক যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত।
এই মিথ্যা মামলার ব্যাপারে ক্ষুদ্ধ মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি। ক্ষোভ প্রকাশ করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আমাদের সাথে কোন আলোচনা হয়নি। তবে শুনছি সাক্ষীরা নাকি অস্বীকার করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *