মারমা সম্প্রদায়ের অন্যতম লোকনাট্য ‘ক:কানু’ পাংখুং

এন্ড্রো ত্রিপুরা

বান্দরবান প্রতিনিধি।।

বান্দরবানে ক্ষুদ্র সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট (কেএসআই) এর উদ্যোগে মারমা সম্প্রদায়ের লোকসাংস্কৃতিক উৎসব ও মারমা লোকনাট্য ‘ক:কানু’ পাংখুং মঞ্চায়ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ৪ ডিসেম্বর,সোমবার সকাল ৯ :০০ ঘটিকায় বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের চেমীডলু পাড়ায় অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় চেমীডলু পাড়ার হেডম্যান পুলু প্রু মারমা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ। আরো উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান ক্ষুদ্র সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট বিষয়ক কনভেনিং কমিটির আহ্বায়ক ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সিংইয়ং ম্রো এবং (কেএসআই) এর পরিচালক মংনুচিং মারমা, বান্দরবান প্রেসক্লাব’র সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, কুহালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মংপু মার্মা।

মারমা সম্প্রদায়ের লোকনাট্য ক:কানু’ পাংখুং হচ্ছে একটি ঐতিহাসিক লোকনাট্য । মারমা সম্প্রদায়রা এই লোকনাট্যটি ঐতিহ্য ভাবে ধরে রাখা জন্য প্রতিবছরের নানা জায়গায় অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। নতুন প্রজন্মের জন্য এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।কেননা কালের বিবর্তনে আস্তে আস্তে লোকনাট্য বিলীন হওয়ার পথে। বান্দরবানে ১১ টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রয়েছে। যা প্রত্যেক সম্প্রদায়ের ভিন্নগত ভাষা ও সংস্কৃতি,ঐতিহ্য,রীতি -নীতি রয়েছে। সেসব ধরে রাখা জন্য বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে ঐহিত্যবাহী বাঁশ নৃত্য, পিঠামেলা, মারমা ভাষা লোকসংগীত কাপ্যা, মারমা লোকনাট্য অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে শেষ বক্তব্য রাখেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ। তিনি বলেন বান্দরবানে কাজ করা দায়িত্ব না পেলে হয়ত জানতাম না যে, ১১ টি গোষ্ঠী মধ্যে তাদের নিজস্ব ভাষা,ঐতিহ্য,লোকসংগীত রয়েছে। তাদের যে রীতিনীতি আমাকে বেশ মুগ্ধ করেছে। তিনি আরো বলেন, শুধু মারমা না এখানে ত্রিপুরা, চাকমা,ম্রো,চাক, সব সম্প্রদায় নিজের ঐতিহ্য ধরে রাখা একান্ত দরকার বলেন। নিজের রীতিনীতি ও সংস্কৃতি, চর্চা দিয়ে নিজ সম্প্রদায় পরিচয় পাওয়া যায়। এই বলেন ১১টি জনগোষ্ঠীর প্রতি বিশেষ উদ্দীপনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *