মোঃ ফয়সাল হায়দার
(ক্রাইম রিপোর্টার)
মাগুরা জেলা প্রতিনিধি:
মাগুরায় প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর
সংখ্যা। ডাক্তার ও নার্সরা যথার্থ চিকিৎসা সেবা
দেওয়ার চেষ্টা করলেও সংকট রয়েছে বেডের। বেডের তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ফ্লোরে থেকেই
চিকিৎসা নিতে হচ্ছে অনেক রোগীদের।
তবে এখানে স্যালাইন বা ওষুধের কোন সংকট নেই বলে
জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন।
এছাড়া হাসপাতালের বাইরের দোকানগুলোতে চিকিৎসার এ সকল সরনজামাদি উচ্চমূল্য নেওয়া হচ্ছে
না বলেও জানান তিনি।
তবে কেউ যাতে স্যালাইনসহ
ওষুধ উচ্চ মূল্যে বিক্রি করতে না পারেন সেজন্য নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে মাগুরায়
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত নতুন করে ডেঙ্গু
আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৮ জন।
নতুন ৬৮ জনসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে আক্রান্ত
হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১২২ জন।
যার মধ্যে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে ৭৩ জন, শ্রীপুর
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪, মোহাম্মদপুর উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২৩ ও শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
২ জন।
এ বছর জানুয়ারী থেকে অদ্যবদী পর্যন্ত জেলার ৪
উপজেলায় ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে মোট ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ১২ জন। যার মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে মোট ১
হাজার ৮ (আটশত) ৯০ জন।
তবে জেলাতে ডেঙ্গু আক্রান্ত
হয়ে এখন পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মাগুরা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য বেডের
সংখ্যা ৪০টি নির্ধারিত করা হলেও সেখানে মোট ৭৩
জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে।
বর্তমানে রোগীর সংখ্যা
বেড়ে যাওয়ায় ফ্লোরে অবস্থান করছেন অনেক
রোগীরা। ফ্লোরে চিকিৎসা নিলেও চিকিৎসা ব্যবস্থা
নিয়ে সন্তুষ্ট রোগী ও তার স্বজনরা।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে শিশুর
ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন মাগুরা কলেজ পাড়ার বাসিন্দা জাওয়ান(৭)। কয়েকদিন তীব্র জ্বর হওয়ায় রোববার
পরীক্ষায় পজিটিভ হয়। হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছে সে।
তার বাবা নাজমুল হাসান মুকুল
বলেন, কাল ভর্তি হওয়ার পর থেকে তিনবার ডাক্তার এসেছে।
নার্সরাও ঠিকমত খোঁজখবর নিচ্ছে। আমার বাচ্চা এখন কিছুটা ভালো।
এদিকে হাসপাতাল থেকে পর্যাপ্ত ওষুধ স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন
ডাক্তার মো: শামীম কবির।
তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। আর বাইরে থেকে যদি কেনা
লাগে সেক্ষেত্রে যাতে ন্যায্য মূল্যে ওষুধ, স্যালাইন কিনতে পারে সেজন্য জেলা ড্রাগস সমিতি, মেডিকেল
রিপ্রেজেনটিভ ও জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ টিমের সাথে আলোচনা করেছি। এখন থেকে
হাসপাতাল এলাকার ঔষধের দোকানগুলোতে ন্যায্য মূল্যে রশিদের বিনিময়ে ঔষধ ও স্যালাইন বিক্রি করা
হবে। রশিদ ছাড়া কোন ঔষধ বিক্রি হবে না। এ বিষয়ে জেলা ভোক্তা অধিকার নিয়মিত অভিযান
চালাবে। বর্তমানে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে কোন গুরুতর রোগী নেই।
ডেঙ্গু আক্রান্ত বাড়ায় আরো ৩ জন চিকিৎসক
আগামীকাল থেকে সদর হাসপাতালে কাজ করবে।