এন্ড্রো ত্রিপুরা
বান্দরবান প্রতিনিধি
বান্দরবান সেনা রিজিয়ন ও পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার পাইক্ষ্যং ও ক্যাপলং পাড়ায় বসবাসকারী ১১০ টি পুনর্বাসিত পরিবারের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানবিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৬৯পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ এসজিপি,এনডিসি,এএফ ডব্লিউসি, পিএসসি, পিএইচডি।
মানবিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মাহমুদুল হাসান পিএসসি,জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোরশেদ আলম,বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লাল জারলম বম, সম্প্রদায়ের নারী নেত্রী মেরী জয় বম,রোয়াংছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম, রোয়াংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান চহাই মং মারমা,রোয়াংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান মেহ্লা অং মারমা,আলেক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব নাথ তংচঙ্গা,পাড়া কারবারি, সুবিধাভোগী জনসাধারণ, বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু,সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক, প্রথম আলো সাংবাদিক বুদ্ধজ্যোতি চাকমা,৭১টিভি প্রতিনিধি জহির রায়হান, জি টিভি প্রতিনিধি মো:ইসহাক, ডেইলি ইন্ডাস্ট্রি বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মুহাম্মাদ আলী,এসএ টিভি প্রতিনিধি উ সি থোয়াই’সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।
এসময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বলেন দীর্ঘ সংহিতায় এই এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ধাপে ধাপে কিভাবে শান্তি আলোচনার অগ্রগতির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় সেইদিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
৬৯ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন আমরা চাই একটি সৌহার্দপূর্ণ বান্দরবান, যেখানে নানা ধর্ম বর্ণ সকল সম্প্রদায়ের মাঝে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় থাকবে।যারা পূর্বে পাড়া থেকে চলে গিয়েছিলো তারা নির্ভয়ে আবার পাড়ায় ফিরে আসতে পারবে।তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সেনাবাহিনী অতিতের মতো এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে। ২৭শে নভেম্বর সোমবার সকালে প্রথমে ক্যাপলং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ২৮ জন এবং পরে পাইক্ষ্যং পাড়া ফুটবল মাঠে ৮০ জন সহ মোট ১১০ টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, ঔষধ সামগ্রী, শীত বস্ত্র এবং ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এর ভয়ে কয়েক পাড়া হতে পালিয়ে যায়। বম জনগোষ্ঠীর ৯৭ টি অধিক বেশি পরিবারের ৪০০ জনের অধিক সদস্য, নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে চলা অস্থিরতার অবসান ঘটে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও কেএনএফ এর শান্তি আলোচনার মাধ্যমে। পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা কে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠিত শান্তি কমিটির সাথে গত ৫ই নভেম্বর বান্দরবানের রুমায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে নতুন সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে প্রথম মুখোমুখি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক এর ফলশ্রুতিতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় নিজেদের আবাসস্থলে ফিরতে শুরু করে বম সম্প্রদায়ের জনসাধারণ।