আশিকুর রহমান জালি ।
নিজস্ব সংবাদদাতা।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার সুকদাড়া এলাকায় অবস্থিত দেশের একমাত্র মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের ১৫ টি হঠাৎ মারা গেছে। এছাড়া ৭/৮টি মহিষ অসুস্থ রয়েছে।মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামার কর্তৃপক্ষের ধারনা খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মহিষ গুলো মারা যেতে পারে।
মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানায়, দেশের একমাত্র এই মহিষ খামারে মোট মহিষের সংখ্যা ৪৩৭টি।এরমধ্যে ১৫টি মহিষ মারা যায়। তবে কি কারনে মহিষ গুলো মারা গেছে তার সঠিক কারন জানতে পারিনি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অসুস্থ মহিষ গুলোর চিকিৎসা চলছে।
এদিকে মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে মৃত মহিষ গুলো মাঠের যেখানে সেখানে পড়ে আছে। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা জানান, মহিষ মৃত্যুর খবর শুনে তারা খামারে এসে দেখেন ১৫ টি মারা গেছে। এসময় তারা অভিযোগ করে বলেন অসাস্থকর গোখাদ্য ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় মহিষ গুলোর এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মহিষ গুলোর জন্য বরাদ্দকৃত গোখাদ্য না দেয়ে অসাধু কর্মকর্তারা নামমাত্র গোখাদ্য দেওয়ায় বর্তমানে জিবিত মহিষ গুলোর শারীরিক অবস্থার একবারে নাজুক।
এলাকাবাসী অনেকেই আভিযোগ করে বলেন দেশের একমাত্র মহিষ প্রজনন কেন্দ্রে কতৃপক্ষ মহিষ গুলোকে সঠিকভাবে পরিচর্যা না করায় আজ ১৫টি মহিষের মৃত্যু হয়েছে।
মহিষ প্রজনন ও উন্নয়নে খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ আহসান হাবিব প্রমানিক জানান তিনি প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছেন হঠাৎ রোদের পর বৃষ্টি হওয়ায় ঘাসে প্রাকৃতিক ভাবে নাইট্রেড বিষক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। যে কারনে ঐ ঘাস খেয়ে মহিষ গুলো অসুস্থ হতে পারে। বাগেরহাট জেলা ভেটেরিনারী ডাঃ মনোহর চন্দ্র মন্ডল জানান, মৃত মহিষের ময়নাতদন্ত করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এর প্রতিবেদন আসলে মৃত্যুর রহস্য উদঘটন করা সম্ভব হবে।
বাগেরহাট জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবীদ মোঃ সাহেব আলী বলেন মৃত মহিষের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া ও খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ গুলো পরিক্ষা নিরীক্ষা শেষে মহিষের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।