পলাশবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে নবান্ন উৎসব পালিত।

সাগর আহম্মেদ গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে নবান্ন উৎসব পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শীতের উপকরণ পিঠা, পায়েশ, মুড়ি, মুড়কি তৈরী করা হয়।

২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের আয়োজনে মতিয়ার রহমান লাভলুর (প্রতিষ্ঠান পরিচালক) পরিচালনায় নবান্ন উৎসব পালন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পলাশবাড়ী পৌর মেয়র জননেতা গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লব পত্নী জান্নাতুল ফেরদৌস (সমাজসেবী)।
উৎসবমুখর পরিবেশে সাড়ে সাত শতাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষক মন্ডলীদের মধ্যে নবান্ন উৎসবের শীতের উপকরণ বিভিন্ন ধরনের পিঠা, পায়েশ, মুড়ি, মুড়কি খাওয়ার ধুম পরে। গ্রাম বাংলার চিরচারিত ঐতিহ্য নবান্ন উৎসব বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উৎসবমুখর পরিবেশে সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে অভিভাবকের মতামত প্রসঙ্গে জানা যায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যতিক্রমধর্মী এমন আয়োজনে বেশ প্রশংসনীয় এবং গর্বের বিষয়। আমরা অনেক আনন্দিত এবং উচ্ছসিত যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসেও বাচ্চাদের সাথে নবান্ন উৎসব পালন করতে পেরেছি।

হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক জামিউল ইসলাম জাহিদ সাংবাদিকদের জানায়,শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন আয়োজন আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বহন করে।
লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো ছাত্র ছাত্রীদের মানসিক বিকাশে সহায়তা করে।

স্কুলের পরিচালক মতিয়ার রহমান লাভলু জানায়,হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের সু শিক্ষায় শিক্ষিত করতে প্রতি বছর নিত্যনতুন ব্যাতিক্রমধর্মী আয়োজন করে থাকে এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নবান্ন উৎসব পালন করছি আর এটা আমাদের বড়ো অর্জন।

উল্লেখ্য, পলাশবাড়ী পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র অবস্থিত হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। ২০১০ সাল থেকে বেশ সুনামের সহিত স্কুলটি পরিচালনা করে আসছেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী পলাশবাড়ী প্রেস ক্লাব ক্রীড়া সম্পাদক সাংবাদিক মতিয়ার রহমান লাভলু। প্লে থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানষিক বিকাশের জন্য বার্ষিক বনভোজন, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় শিক্ষা সহ বিভিন্ন শিক্ষমুলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। ইতিমধ্য বার্ষিক বনভোজন সরুপ শিক্ষা সফরে দেশের প্রায় সকল পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন এই প্রতিষ্ঠানের সিংহভাগ ছাত্র ছাত্রী। এছাড়াও প্রায় প্রতিমাসে স্কুলের নিজস্ব অর্থায়নে শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করে থাকেন পরিচালক।উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহনের ব্যাবস্থা রয়েছে। প্রতিটি ক্লাসরুম শীততাপনিয়ন্ত্রিত। ক্লু সার্কিট ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রিত, যার ফলে ঘরে বসেই অভিভাবকদের এ্যাপসের মাধ্যমে সন্তানের পাঠদান পর্যবেক্ষণের সুবিধা ব্যাবস্থা করা আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *