বিপুল রায়- কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় ধর্মীয় উপসনালয়ে ভূমি দস্যুদের বাঁধা উদ্বেগ প্রকাশ স্থানীয় হিন্দুসমাজের। ৩০০ শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী কামাক্ষ্যা মাতা ঠাকুরানী মন্দিরে পূজা অচর্নার সময় বাঁধা ও সব জমি দখলের পায়তারা ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছেন ভূমি দস্যুরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় উপজেলা কাচারী পায়ড়াডাঙ্গায় অবস্থিত ভিতরবন্দ জমিদারের পূর্ব পুরুষ অষ্টদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে অর্থাৎ ১৮১৯ সালের পূর্বে শ্রী শ্রী কাম্যাক্ষা মাতা ঠাকুরানী বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত করিয়া নাগেশ্বরী ইউনিয়নের পশ্চিম পয়ড়াডাঙ্গা নামক স্থানে মন্দির নির্মাণ করতঃ উক্ত বিগ্রহের পুজা অর্চনার প্রথা সৃষ্টি করিয়া শ্রী শ্রী কাম্যাক্ষা মাতা ঠাকুরানীর নামে নিম্ন বর্নিত সম্পত্তি সার্বজনিন ভাবে দান করিয়াছিলেন যাহা দেবত্তর সম্পত্তি রুপে পরিচিত।শ্রী শ্রী কাম্যাক্ষা মাতার মন্দিরে মায়ের পুজা অনুষ্ঠিত হয়। জমিদারী প্রথা বাতিল হওয়ার পর সি এস রেকর্ড, এস এ রেকর্ড, আর এস রেকর্ড সবই কামাখ্যা মন্দিরে র নামীয় সম্পত্তি।সম্পত্তির পরিমান ১০ একর যা ৩০ বিঘা। ভূমি দস্যুরা মন্দির প্রাঙ্গন যাতায়াত এর রাস্তা বন্ধ করে দেয়।উক্ত মন্দিরের সেবাইত গোপাল সরকার বাদী হয়ে আদালতে মামলা করে আদালতের রায় পেয়েও পাচ্ছেন দেবোত্তর সম্পত্তির দখল।মন্দিরের নামে ১০ একর জমি থাকলে অর্ধেকের বেশি জমিই দখলে রেখেছেন আমির হামজা গং।
উক্ত মন্দিরের সেবাইত বীর মুক্তিযোদ্ধা গোপাল সরকার বাদী হয়ে আদালতে মামলা করে আদালতের রায় পেয়েও পাচ্ছেন না দখলকৃত সম্পত্তি উদ্ধার করতে এতে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছেন মৃত আব্দুস সোবহান আলীর ছেলে মোঃ আমির হামজা, আমিনুর রহমান, মমিনুর রহমান বাচ্চু, আবুবক্কর মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন ভূমি দস্যু।
স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের কয়েকজন জানান আমরা ৩০ বছর থেকে এখানে বসবাস করছি এই মন্দিরের নামে প্রায় ১০ একরের মতো জায়গা আছে, মন্দিরের আশপাশে ছাড়া সবগুলো দখলে রেখেছেন ঐ গ্যাং পাটি। কিন্তুু মন্দির কতৃপক্ষ রায় পেলেও গায়ের জোরে দখলে আছে তারা, আমরা এর নিন্দা জানাই যারা ধর্মীয় উপসনালয়ের জায়গা দখল করে তারা মানুষ নয়।
সনাতনী উন্নয়ন পরিষদ ও এলাকার সচেতন মহলের দাবি উক্ত মন্দিরের দখলকৃত সম্পত্তি উদ্ধার করে পুরনায় মন্দিরের দখলে এবং ধর্মীয় কাজে ব্যবহারের জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।