নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি —
মো: ইসমাইল
শিক্ষা ও শিক্ষকতা বড্ড ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে!শিক্ষার সেকাল ও একালের মধ্যে বিশাল ব্যবধান বিরাজ করছে।তথাপিও এ মহান পেশায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি বলতে গেলে অনেকটা পেট বাঁচানোর তাগিদে।তবে বিবেকের দায়বদ্ধতা প্রতিনিয়ত তাড়া করে ফেরে কারণ একজন শিক্ষক হিসাবে শতে একজন এক্সিলেন্ট ছাত্র তৈরি যেন ক্রমে সংকুচিত হয়ে আসছে।গ্যাপটা আসলে কোথায়?কে দেবে জবাব?মাঝেমাঝে নিজেকেই বকা দেই মনে মনে বলি আমি আসলে আদর্শ শিক্ষক হতে পেরেছি?না হলে,কিভাবে আমি এক্সিলেন্ট ছাত্র আশা করি?
শুধু শিক্ষক দিবস কেন,আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনই অনেক ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের ভালোবাসায় সিক্ত হই।প্রিয় শিক্ষকের তকমা,উপঢৌকন,সাক্ষাতে সম্মানজনক এপ্রোসিং ও আদর আপ্যায়নের অভাব হয়না।পায়ই গাড়ি ভাড়া লাগে না,হোটেলে নাস্তার বিল দেওয়া লাগে না ইত্যাদি ইত্যাদি।
তবুও শিক্ষক হিসাবে কখনও কখনও মনে প্রশান্তি পাই না,শিক্ষা ব্যবস্থা ও সুযোগ সুবিধা আধুনিক হচ্ছে;তারপরও কেন যেন মনে হয় সেকালটাই যেন ভালো ছিল।
পরিশেষে,শিক্ষকদের সম্মান প্রতিদিনই;তা যেন একটা দিবসের মধ্যে সীমাবদ্ধ না হয়ে যায়!আমার মাথার তাজ সকল শিক্ষাগুরু ইহকাল পরকালে যেন সম্মানজনক অবস্থানে থাকে।
আমিসহ যাঁরা এ মহান পেশায় রয়েছি সবাই যেন প্রিয় ছাত্র ছাত্রীদের সুশিক্ষা বিতরণের ধারক ও বাহক হতে পারি।মহান পেশার পবিত্রতা রক্ষা করে চলতে পারি মহান আল্লাহর কাছে এ কামনা ব্যক্ত করে শেষ করছি।